Bryonia Alba - ব্রায়োনিয়া এলবাম
Bryonia Alba - ব্রায়োনিয়া এলবাম
পতিশব্দ :
সঞ্চালনে রোগ বৃদ্ধি, বিশ্রামেতে
হ্রাস, শুষ্ক
মুখ শুষ্ক বুকে, অতি
শুষ্ক কাশ।
শুষ্ক জিহবা শূষ্কমল পিপাসা প্রবল, বহুক্ষন পরে পান করে বহুজল।
মাথা নোয়াতে যেন মাথা ফেটে যায়, অতিরিক্ত কোষ্ঠবন্ধ-কষ্ট নাহি তার।
স্থনের গুরুত্ব স্ফীতি, ব্যাথা
অতিশয়, ক্রোধে
কিংবা গীষ্ম ভোগে রোগের উদয়।
ব্রাইওনিয়া সুপ্রয়োজ্য হয় সেই স্থলে, যথা রোগী শান্তি পায় চাপিলে, শীতলে । (সংগীত)
প্রতিশব্দ :
ব্রায়োনিয়া ভেরা, সাদা
ব্রায়োনি, ভিটিস
এলবা, ব্ল্যাকবেরিড
হোয়াইট ব্রায়োনি।
উৎস :
ওয়াইন্ড হপ্স নামক গাছ হতে ঔষধটি প্রস্তুত হয়। গাছটি মূল
হতে ৩ ফুট লম্বা এবং ৩-৪ ইঞ্চি মোটা হয়। মূল
আড়াআড়ি ভাবে কোঁচকানো থাকে। পাতাগুলো খসখসে ও ঘন সবুজ বর্ণের হয় । জুন-জুলাই মাসে ছোট ছোট সবুজ হলদে রং এর ফুল
ফোটে।
প্রপ্তিস্থান :
মধ্যে ও দক্ষিন ইউরোপের দ্রাক্ষা এবং অরন্যে ইহা পাওয়া যায়।
আবিষ্কার :
১৮১৬ সালে মহত্না হ্যানিমান আবিষ্কার করেন।
ধাতু প্রকৃতি :
বাত ধাতুর লোক, উত্তজনা
প্রবল, পিত্ত
রোগ ভোগে, বলিষ্ঠ, দৃঢ় মাংসপেশী এবং চুল ও শরীর কালো বা
শ্যামবর্ণ ব্যাক্তি যাদের দেখতে নির্বোধের মত।
ক্রিয়াস্থান :
যাবতীয় রক্তম্বুস্রাবী ঝিল্লী এবং অন্তবর্তী কোষ সমূহ উপর
বিশেষ ক্রিয়া করিয়া থাকে। ফাইব্রাস টিসু, ফুসফুস, সিরাস মেমব্রেন, যকৃত ও মস্তিষ্কর উপর ক্রিয়া।
রোগ সমূহ :
সবিরাম জ্বর, স্বল্প
বিরাম জ্বর, টাইফয়েড
জ্বর, শিরঃপীড়া, সর্দিস্রাব, মাথাঘোরা, কাশি, চক্ষু
বেদনা, স্তন
প্রদাহ, উদারময়, যকৃতের পীড়া, কোষ্টবদ্ধতা, ব্রঙ্কাইটিস, নিমোনিয়া
ন্যাবা বাত, সন্ধি
বাত এবং শ্লৈষ্মিক ঝিল্লীর রস নিঃসারনে রুদ্ধ করে।
লক্ষণ :
ব্রায়োনিয়ার ৩ টি বিশেষ লক্ষণ :
১। ব্রায়োনিয়ার
ধীরগতিযুক্ত পীড়া লক্ষণের আবির্ভাব। অতি ধীরে ধীরে, ক্রমে
ক্রমে বৃদ্ধি পাইয়া পীড়াটি সর্ব সম্পূর্ণ হইয়া উঠে।
২। ব্রায়োনিয়ার
শুষ্কতা। মুখ গহবর ও গুহ্যদ্বার শুষ্ক। শুষ্ক কাশি, সেজন্য পিপাসাও প্রচুর কিন্তু অনেক্ষণ পর
পানি পান করে।
৩। নড়াচড়ায়
সকলের কষ্টের বৃদ্ধি। সঞ্চালনে বৃদ্ধি, রোগী চুপচাপ পড়িয়া থাকিতে ভালবাসে।
মানসিক লক্ষণ :
১। আরোগ্য
সম্বন্ধে হতাশা, অত্যন্ত
নৈরাশ্যপূর্ণ থাকে। রোগী দিবারাত্রি চুপচাপ থাকে।
২। খিটখিটে
স্বভাবের ও বিমর্ষ।
৩। নতুন
লোক দেখিলে রোগী খারাপ বোধ করে।
৪। জোরে
কথা বলিলে বা হঠাৎ বাতি জ্বালাইলে রোগী রাগাম্ভিত হইয়া উঠে।
৫। প্রলাপ
বকে, প্রলাপে
রোগী বাড়ী যাইতে চায়।
৬। রোগী
উত্তেজিত হইলেই পীড়ার লক্ষণ দেখা যায়।
৭। রোগী
অন্ধকারে থাকিতে চায়।
৮। রোগী
মনে করে বিছানায় বসিয়াই যেন সে কোথাও যাইতেছে।
৯। শিশুরা
কি যে চায় বুঝা যায় না। কিন্তু কোলে উঠিতে চায় না।
চরিত্রগত লক্ষণ :
১। ঠোঁট, মুখ, জিহ্বা, পাকস্থলী, গলা
প্রভৃতির শুষ্কতা।
২। নড়াচড়ায়
পীড়া লক্ষণের বৃদ্ধি। চুপ করিয়া থাকিলে উপশম। পিটিলে বেদনা ও অন্যান্য লক্ষণের উপশম।
৩। জিহ্বা
শুষ্ক হেইয়া অত্যান্ত পিপাসাবোধ। মুখে তিক্ত স্বাধ।
৪। মল
শুষ্ক ও কঠিন।
৫। তর্কাতর্কি, ঝগড়া বা কাহারও সহিত মত
বিরোধের কয়েক ঘন্টা পরে প্রবল রক্ত সঞ্চয় মুক্ত শিরঃপীড়া।
৬। মাথা
যেন চাকার মত ঘোরে। প্রাতে এবং বিছানা বা আসন হইতে উঠিলেই মাথা ঘুরিয়া পড়িয়া যাইবার উপক্রম।
৭। বক্ষঃস্থেলে
সাঁটিয়া ধরা ও অসহ্য খোচা বেঁধার মত বেদনা। নিঃশ্বাস টানিতে পারে না। নড়াচড়ায়
বেদনার বৃদ্ধি।
৮। বাত শ্লেষ্মা জ্বর-বার বার ঠোঁট নাড়া, যেন কিছু চিবাইতেছে। ঠোঁট শুষ্ক ও ফাটা।
৯। গ্রীষ্মে
উদরাময়ের বৃদ্ধি।
১০। কাশি গলার মধ্যে কুটকুট করে, রাত্রিতে কাশির বৃদ্ধি। শুষ্ক কাশি, গয়ার উঠে না।
১১। ঘাড়ের পেশী শক্ত হইয়া যাওয়া ও বেদনার জন্য
মাথা নাড়িতে না পারা।
১২। উঠিয়া বসিলে গা বমি বমি ও গা ঝিম ঝিম করে।
বাম হাত বা বাম পা অনবরত নাড়ে।
১৩। মাসিক ঋতু বন্ধ, নাক দিয়া রক্ত পড়ে।
কাশি : রোগী স্থির হইয়া চুপচাপ থাকিলে কাশি হয় না, কিন্তু একটু নড়াচড়া করিলে কাশি আরম্ভ হয়।
শুষ্ক কাশি, বুকের
ভিতরে যেন কাশি চাপিয়া ধরিয়া আছে। কাশির সময় হাত দিয়ে বুক চাপিয়া ধরিতে হয়, বুকে ও পেটে বেদনা, চটচটে রক্ত মিশ্রিত গয়ার, কিছু খাইলে কাশি বৃদ্ধি।
দন্ত :
দন্তে প্রচন্ড ব্যাথা-খাবার
প্রহন করার সময় ছিড়ে পেলার মত সূচ ফোঁটানোর ন্যায় বেদনা।
বৃদ্ধি :
উঠিয়া বসিলে, শুকনো
পানাহারে, সঞ্চালনে, প্রাতঃকালে, আহারের
পরে, গরম
ঘরে থাকিলে।
উপশম :
আক্রান্ত স্থান চাপিলে, শয়নে, বিশ্রামে, স্থির
হইয়া থাকিলে, ঠান্ডা
দ্রব্য পানাহারে, ঘামে।
ব্রায়োনিয়া অনুপূরক :
এলিমিউনা,
রাসটক্স, কেলি কার্ব, নেট্রাম
মিউর, কার্বোভেজ, এন্টিম টার্ট, ডাল্কামারা, বেলেডোনা।
ব্রায়োনিয়া ক্রিয়ানশক :
ক্যামোমিলা, চেলিডোনিয়াম, ক্যাম্ফার, কফিয়া, এসিড মিউর, নাক্স, পালসেটিলা, সেনেগা, রাসটক্স।
ব্রায়োনিয়ার ব্যবহার শক্তি :
৩x হইতে ২০০ শক্তি।
কোন মন্তব্য নেই