Calcarea Phosphoricum – ক্যালকেরিয়া ফসফোরিকাম
Calcarea Phosphoricum – ক্যালকেরিয়া ফসফোরিকাম
সাধারণ নাম : ফসফেট অব লাইম।
প্রতিশব্দ : ক্যালসি ফসফাস প্রিসিপিটাস
ক্যালসিয়াম ফসফেট
ফসফেট ক্যালসিয়াম ফসফোরিকাম
ক্যালকেরিয়া
সংক্ষিপ্ত
নাম : ক্যাল্কফস (C P)
উৎস
বর্ণনা : এমোনিয়ার সহিত সোডিযাম ফসফেট এবং ক্যালসিয়াম ক্লোরাইডের ফলে ক্যালসিয়াম ফসফেট প্রস্তুত হইয়া থকে। ইহাতে কোন স্বাদ ও গন্ধ
নাই, প্রচন্ড
লাল উত্তাপে ইহা গলিয়া যায়।
মায়াজম
: ইহা
এন্টিসোরিক, এন্টিসাইকোটিক এন্টি টিউবারকুলার ।
প্রুভার
: ডাঃ
সুসলার ও ডাঃ
হেরিং।
ক্রিয়ার
স্থান : অস্থির উপর, শিশুদের
বিলম্ভে দাঁত উঠিলে, রক্তের
শ্বেত কণিকা তৈরী করিতে ও উহাদিগকে
বলিষ্ঠ করিতে কার্যকরী।
ধাতু
: শিশু
জীর্ণশীর্ণ, বয়স অনুযায়ী যাহাদের শরীর বৃদ্ধি হয় না ।মাথাটি
দেহ অপেক্ষায় বড়, হাত-পা শীর্ণ, মাথার
হাড় পাতলা থাকে যেন একটু চাপ দিলেই ভাঙ্গিয়া যাইবে, দাঁত
অনেক পরে ও বিলম্বে
উঠে, মেরুদন্ডের
দুর্বলতার জন্য হাঁটিতে পারেনা।
মানসিক
লক্ষণ :
১.
খিটখিটে ও ক্রোধী,
পরিবর্তনশীল মেজাজ।
২.
শিশু বার বার স্থান পরিবর্তন করিতে চায়।
৩.
একটি দ্রব্য পাইলে বা হাতে দিলে তাহা ফেলিয়া দিয়া আর একটি চায়।
৪.
শোক, দুঃখ,
হতাশ ও বিরক্তি
ভাব।
৫.
বয়স্ক রোগী রোগের কথা চিন্তা করিলেই রোগটি আরও বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয় ।
চরিত্রগত
লক্ষণ :
১.
শিশুদের বিলম্ভে দাঁত উঠে।
২.
হাড় পুষ্ট হয় না বা বাঙ্গা হাড় অনেক দিন হয়েগেছে জোড়া লাগে না।
৩.
মাথায় ঘাম এবং আহারের পরেই পেটে বায়ু জমে।
৪.
যুবক যুবতীরা দ্রুত লম্ভা হয়ে উঠে কিন্তু সেই অনুযায়ী শরীল বৃদ্ধি হয় না।
৫.
শোক, দুঃখ,
হতাশপ্রেম প্রভৃতি হেতু পীড়া।
৬.
হাসিলে ও আহারের
পর কাশির বৃদ্ধি।
৭.
ছাত্র-ছাত্রিদের
শিরঃপীড়া ঠান্ডা জলে স্নান করিলে।
৮.
বালিকাদের ঋতু দর্শনকালে নানাপ্রকার উপসর্গ।
৯.
আহারের পর উদরাময় লক্ষণ দেখা দেয়, মল
অতিশয় দুর্গন্ধ।
১০.
আঘাত জনিত হাড় ভাঙ্গিয়া বা বাঁকিয়া যায়।
১১.
অনিচ্ছাক্রমে দীর্ঘশ্বাস, শ্বাসরুদ্ধকর কাশি শয়নে উপসম।
১২.
অস্থি ভাঙ্গিলে জোড়া লাগে না, মেরুদন্ডের
বক্রতা ও দুর্বলতা।
১৩.
অনিচ্ছায় শুক্র নির্গমন, রক্তহীনতা।
১৪.
বয়ঃব্রণ-কালব্রণে
মুখ পূর্ণ ।
১৫.
বাতে আক্রান্ত স্থান শীতল ও আসাড়
বোধ।
দন্তের
পীড়া :
শিশুদের
দাঁত যেমন বিলম্বে উঠে, তেমনি
শীঘ্র শীঘ্র নষ্ট হইয়া যায়। পূর্ণবয়স্কগণের দাঁত বোধ হয় যেন নরম। দাঁতে ছিদ্র দেখা দেয়, পুরাতন
দাঁত স্বাভাবিক অপেক্ষা কিছু বড় এবং গোড়া আলগা হয় ও পড়িয়া
যায়।
শিশূ
উদরাময় ও কলেরা
:
শিশুদের উদরায়ম কা কলেরায় যখন শিশুর পেটে দুধ আদৌ সহ্য হয় না, খাইলেই
বমি করে, অনবরত
বাহ্য হয়, বাহ্যের
রং সবুজ, তাহার
সহিত সাদা-সাদা
ও হুড়হুড়ে
একপ্রকার পদার্থ মিশ্রিত থাকে। বাহ্যর সময় শব্দ হয়, যাহা
পান করে তাহাই বাহ্যের সঙ্গে বাহির হয়ে যায় ও বমি
করে। শিশুর চোখ-মুখ
বসিয়া যায়, শরীর
শিতল হয় এবং মরার মত চুপ করিয়া পড়িয়া থাকে।
অস্থির
পীড়া :
শরীরের
কোন স্থানের অস্থি ভাঙ্গিয়া যাইলে যদি শীঘ্র শীঘ্র না জোড়ে তাহা হইলে সিম্ফাইটম উপকারী; কিন্তু
যখন সিম্ফাইটমে উপকার না হইবে, তখন
ক্যালকেরিয়া ফস নিম্নশক্তি ৬x হইতে
১২x পর্যন্ত
প্রয়োগ করিবেন। শিশুদের পা বাঁকা হইলে ইহার দ্বারা অনেক উপকার হয় ।
বাত
:
প্রভৃতি
ঋতু পরিবর্ত্তন শরীর ব্যথা, কনকন
করা, কামড়ানি
ও বাতের
বেদনা বাড়ে, সেই
বেদনা স্থান পরিবর্ত্তন করে। এক অঙ্গ হইতে অন্য অঙ্গে পরিচালিত হয়। বেদনা কোমরের নিম্নের হাড়ে (in sacrum) কিছু অধিক হয় । রোগী
শরৎ ও বসন্তকালে
ভাল থাকে।
স্ত্রী-ব্যাধি :
বালিকাদিগের
ঋতুস্রাব শীঘ্র শীঘ্র এমন কি ১৫ দিন অন্তর হয়; কিন্তু
বয়স্কদের ঋতুস্রাব প্রায়ই অনেক বিলম্বে হয়, ঋতুর
সময় প্রস্রাববেদনার মত বেদনা থাকে। সাদাস্রাবে ডিমের লালার মত, ঋতুস্রাব
কমিয়া আসার সঙ্গে সঙ্গে সাদাস্রাব বৃদ্ধি হয়।
বৃদ্ধি : বিশ্রামে, ঋতু
পরিবর্ত্তনে।
উপশম
: তাপে,
গরম প্রয়োগে।
পরবর্তী
ঔষধ : ক্যাল ফস, ন্যাট-মিউর, এসিড,
সাইলি।
ক্রিয়া
নাশক :
ক্রম
: ৬-২০০ শক্তি।
বায়োকেমিক: ১২x
হইতে উচ্চ শক্তি।
কোন মন্তব্য নেই