Calcaria Carbonica - ক্যালকেরিয়া কার্বনিকা


Calcaria Carbonica - ক্যালকেরিয়া কার্বনিকা






প্রতিশব্দ :      ক্যালসিয়াম কার্বনেট অব হ্যানিম্যান
                   তেসতা অষ্ট্রিয়া
                   ইমপিউর কার্বনেট অব লাইম।
:          ঝিনুকের মধ্যস্তর ভাগ হইতে এই ঔষধর চূর্ণ প্রস্তুত হইয়া থাকে।

প্রস্তুত প্রণালী : শামুক ভাঙ্গিয়া টুকরা করিয়া ভিতরে যে সাদা অংশ পাওয়া যায় তাহা যন্ত্রে পিশিয়া বিচূর্ণ প্রস্তুত হয়।

প্রুভার :       মহাত্মা হ্যানিম্যান ইহা প্রুভ করেন।

ক্রিয়াস্থান :
শরীরের শোষণ ক্রিয়া, ক্ষরণ ক্রিয়া ও রক্ত সঞ্চালন ক্রিয়ার উপর কার্য অধিক দেখিতে পাওয়া যায়। রক্ত চর্ম, ফুসফুস, জিহ্বা, দাঁত, মস্তিষ্ক প্রভৃতির উপর ইহা ক্রিয়া প্রকাশ করিয়া থাকে। গন্ডমালা ধাতুগস্থ ব্যক্তিদের পক্ষে ইহা খুবই উপকারী।

ধাতুগত লক্ষন :
ক্যালকেরিয়া কার্ব প্রয়োগের পূর্বে ধাতুগত লক্ষনের উপর সর্বাপেক্ষা গুরুত্ব দিতে হবে। ইহার ধাতুর রোগী চেহারা বিশেষ করিয়া শিশু ও পূর্ণ বয়স্ক ব্যক্তি থলথলে, মোটা, মেদপূর্ণ, ধীর স্থির, চলাফেরা ও কাজ কর্মে ধীরে ধীরে করার স্বভাব, আলস্য পরায়ণ।
রোগীল শিতলতা ভাব থাকে, ইহার রুগী শীতকাতর।  
ক্যালকেরিয়া কার্বের শিশুর হাড়সমূহ নরম এবং মেদর অংশ বেশী। গন্ডমালা, ধাতুগ্রস্ত-গ্রীবার গ্র্রন্থিসমূহ ফোলা।
হাত পা সরু, শরীরের আয়তন অপেক্ষা মাথাটি বড়, পেটটি আরও বড়।
রোগীর মাথা ঘাম হয়, ঘুমাইলে মাথার ঘামে বালিশ ভিজিয়া যায়।
অপুষ্টি জনিত কারনে মেরুদন্ডের অস্থি, হাতের, পায়ের ও অন্য স্থানের লম্বা অস্থিসমূহ বাঁকা, হাড় অসমান ও বিকলাঙ্গ দেখায়।
পায়ে ঘাম হইয়া পায়ের তলায় ঘা, হাজিয়া যায়। খোলা বাতাসে রুগী বেড়াইতে ভয় পায়। ডিম খাইবার প্রবল ইচ্ছা রুগী প্রকাশ করে। ইহার রুগী বোকা ও জড়।

মানসিক লক্ষণ :
. রোগী মনে করে তাহার বুদ্ধি নাশ হইবে বা ভবিষ্যতে বিপদ ঘটিবে।
. কোন সংক্রামন পীড়ার আশংকায় ভীত।
. মনের বিশৃংখলা অবস্থা, ভুলোমন, অবসাদ।
. মানসিক উকন্ঠার সহিত হৃদস্পন্দন।
. সামান্য মানসিক পরিশ্রমে মাথাগরম হইয়া উঠে। রোগী একগুঁয়ে।
. কোন কার্জ কর্মে বা পরিশ্রম করিতে ইচ্ছা নাই।

চারিত্রগত লক্ষণ :  
. রোগী দেখিতে মোটাসোটা, মেদপূর্ণ, শিশুগন যেন জড়পিন্ডের ন্যায়, শীঘ্র নড়িতে পারেনা, চর্মলাল ও শুষ্ক, সমস্ত হাড় নরম। শিশু চলিতে না শিখা।
. হাত পা সরু, শরীরের আয়তন অপেক্ষা মাথাটি বড়, পেটটি আরও মোটা, বড় ও শক্ত দেখায়।
. মাথায় ঘাম হয়, ঘুমাইলে মাথার ঘামে বালিশ ভিজিয়া যায়।
. মেরুদন্ডের অস্থি, হাতের পায়ের ও অন্যস্থানের লম্বা অস্থিগুলি বাঁকা। বিকলাঙ্গ দেখায়।
. টক বাহ্য, টক বমি, টক টেকুর, সমস্ত শরীরে টক গন্ধ।
. স্ত্রীলোকদের শীঘ্র শীঘ্র ও অধিক পরিমাণে ঋতুস্রাব, স্রাব অনেকদিন পর্যন্ত থাকে, শেষে রক্তহীন হেইয়া পড়ে।
. নাকে, কানে কিম্ভা মূত্রথলি অথবা জরায়ুতে পলিপস বা এক প্রকার মাংস পিন্ডময় গ্যাজের উপত্তি।
. ঝাপসাদৃষ্টি।
. যোনী কপাটে স্ফীতি ও প্রদাহ। প্রসূতির স্তনে স্বপ্লদুগ্ধ, অথচ শক্ত ও ফোলা।

প্রয়োগক্ষেত্র :
শিশুর দন্ত নির্গমন কালীন পীড়া, শিশু কলেরা ও উদরাময়, পাকস্থলীর পীড়া, জরায়ুর পীড়া, বাধক বেদনা, আসাড়ে মূত্রত্যাগ, পাথরী, টাইফয়েড জ্বর, সবিরাম জ্বর, প্রস্রাবের পীড়া, আমবাত, একজিমা, শিরঃপীড়া, চক্ষু ও নাসিকার পীড়া, কর্ণের পীড়া, অনিদ্রা, নাসিকার পীড়া,ফিট হইয়া যাওয়া (এপিলেপ্সি) থাইসিস (যক্ষাকাশি) প্রভৃতী পীড়ায় ইহা প্রয়োগ হয়।

বৃদ্ধি :
শয়নে, মুক্ত বাতাসে, ঠান্ডা ও জলীয় বায়ুতে, প্রাতে, শীতল জলে, পূর্নিমায়, শারীরিক পরিশ্রমে, আহারের পরে মানসিক পরিশ্রমে, আলোতে, দুগ্ধপানে, দন্তোদগমকালে, সঙ্গমের পর, ঘাম চাপা পড়িয়া, ঋতুস্রাবের পূর্বে।

হ্রাস :
শুষ্ক বায়ুতে, অন্ধকারে, আক্রান্ত পার্শ্বে শয়নে, চুল কাটিলে, চি হইয়া শুইলে, কোষ্ঠবন্ধ অবস্থায়, টিল পোষাক ব্যবহারে, ঘর্ষণে ।

ক্রিয়ানাশক : ব্রায়োনিয়া, ক্যাম্ফর, চায়না, ইপিকাক, হিপার, নাট্রিক এসিড, নাক্স, সালফার, সিপিয়া।

অনুপূরক : বেলেডোনা, রাসট্রক্স, সাইলেসিয়া, লাইকোপোডিয়াম।

ক্রিয়া স্থিতিকাল : ৬০ দিন।

ক্রাম : ৬ থেকে ২০০ বা তদুর্দ্ব শক্তি।

1 টি মন্তব্য:

Blogger দ্বারা পরিচালিত.