হোমিও প্যাথিক শিক্ষার্থীদের জানার বিষয়ঃ Nitric Acid - নাইট্রিক এসিড


Nitric Acid - নাইট্রিক এসিড





প্রতিশব্দ :
নাইট্রিক এসিড, একোয়া কার্টিস, হাইড্রোজেন নাইট্রিট, স্পিরিটাস নাইট্রিক এসিড।

উৎস :
ইহা বর্ণহীন কটু গন্ধবহ এবং অত্যধিক এসিড স্বাদযুক্ত তরল পদার্থ। সোডিয়াম নাইট্রেটের সহিত সালফিউরিক এসিডের পরস্পর ক্রিয়ার ফলে ইহা তৈরী হয়।

আবিষ্কারক :
ডাঃ হ্যানিমান ইহা আবিষ্কার করেন।

ধাতু :
এন্টিসোরিক, এন্টি সাইকোটিক, এন্টি সিফিলিটিক। যে সকল ব্যক্তির পেশী শক্ত অথচ শরীর শীর্ণ, কালো চুল, কালো চোখ, যাহারা প্রায় পুরাতন রোগে ভোগে। যাহাদের সহজেই ঠান্ডা লাগে, একটু অনিয়মেই পেট খারাপ করে।

ক্রিয়াস্থান :
অস্থি, চর্ম, মিউকাস মেমব্রেন এবং চর্মের সন্ধিস্থল, গ্ল্যান্ড, ঠোঁটের কোন, গুহ্যদ্বার, যোনী প্রভৃতির উপর অধিক ক্রিয়া প্রকাশ করে।  

মানসিক লক্ষণ :
১। রোগী অতিশয় ক্রোধী, সামান্যতম প্রতিবাদও সহ্য করিতে পারেনা।
২। কাহারও সহিত সদ্ভাবে বসবাস করা ইহার পক্ষে একেবারে অসম্ভব । রোগী কাহাকেও পছন্দ করে না বা কাহারও দ্বারা সমাদৃত হয় না।
৩। একদিকে ভীরুতা অপর দিকে ক্রোধোন্মাত্ততা। ক্ষমা, প্রীতি ও ভালবাসা বলিয়া কোন জিনিষই ইহার মধ্যে নিই।
 ৪। অত্যন্ত খিটখিটে।
৫। নিজের আরোগ্য বিষয়ে নিরাশ হয় ও সর্বদাই কি যেন ভাবে।
চরিত্রগত লক্ষণ :
১। জিহবা, মুখ গহবর এবং উভয় ঠোঁটের কোনদ্বয়ে ফাটা ও ক্ষত। লালাস্রাব, প্রস্রাব এমনকি নিঃশ্বাসটি দারুন দুর্গন্ধযুক্ত।
২। কোনও প্রকার ঠান্ডা রোগীর নিকট সহজ্য হয় না, অল্পতে সর্দি লাগে।
৩। যে কোনও প্রকার ক্ষত সহজেই সারিতে চায়না, তাহা হইতে সহজেই রক্ত ও রস পড়ে। রক্ত পূঁজ যাহাই নির্গত হয় তাহা অতিশয় দুর্গন্ধযুক্ত।
৪। প্রস্রাব ত্যাগ কালীন অত্যান্ত জ্বালা ও সূঁচ ফোটার ন্যায় বেদনা।
৫। গভীর ক্ষত, দুর্গন্ধ স্রাব।
৬। অর্শ, গুহ্যদ্বারে নানা প্রকার মাংস বৃদ্ধি ও ভগন্দর উৎপন্ন হয়। মল নরম তাহাতেও কোঁথ না দিলে বাহির হতে চায়না।
৭। হাঁটার সমায় বা নাড়িতে চড়িতে হাত পায়ের জোড়া স্থানে খট খট করে।
৮। মাটি, খড়ি মাটি, পেন্সিল খাইবার প্রবল আকাঙ্খা, মাংস ও রুটি খাইতে অনিচ্ছা।
৯। কানে শুনিতে পায়না কিন্তু চলন্ত গাড়ীতে উঠিলে বেশ ভাল শুনিতে পায়।
১০। উদরাময়ে অত্যন্ত কোঁথানি, কিন্তু অল্প মল নির্গত হয়। মনে হয় যেন অনেক মল ভিতরে রহিয়া গিয়াছে।
১১। টাইফয়েড জ্বরে অন্ত্র হইতে রক্তস্রাব, গর্ভস্রাব, প্রসবের পর বা ভারী দ্রব্য উঠাইবার বা পরিশ্রমের পর রক্তস্রাব, রক্ত পরিমাণে অধিক, টকটকে লাল কিম্বা কাল বর্ণের।
১২। রোগী দিন দিন কৃশ ও দুর্বল হয়। সর্বদাই শুইতে চায়।
১৩। মাথার চুল উঠিয়া যায়। পা, হাত ও বগল ঘামে। আঙ্গুল হাজিয়া যায়।
১৪। হাতের ও পায়ের নুখে ফুল দেখা যায়।
১৫। হাতের নুখের পাশে চামড়া উঠে।

প্রয়োগক্ষেত্র :
ক্ষয় পীড়া, ক্ষত, মুখে ক্ষত, উপদংশ, অর্শ ও ভগন্দর, মল দ্বারের আঁচিল, প্রস্রাবের পীড়া, টাইফয়েড জ্বর, সবিরাম জ্বর, কর্ণের পীড়া ও বেদনা, উদরাময় ও আমাশয়, চক্ষু পীড়া, শিরঃপীড়া, মিউকাস মেমব্রেন পীড়া।

বৃদ্ধি :
স্পর্শে ও চাপে, দুগ্ধ ও চর্বি জাতীয় খাদ্য, বিশ্রামে, রাত্রিকালে, নিদ্রায়ও শব্দে, ঘর্ম নির্গমনে, জলে ধৌত করিলে, স্নানে, গ্রীষ্ম ঋতুতে, শীত প্রধান স্থানে, পদচারনা কালে, গরম আবহাওয়ায়।

হ্রাস :
যানবাহনে ভ্রমণকালে, শয়নের কিছুক্ষণ পর প্রায় সকল লক্ষণের বিশেষ করিয়া মাথা ব্যথার উপশম পায়।

অনুপুরক ঔষধ :
হিপার, মার্কসল, থুজা, পালসেটিলা, ও কেলি কার্বের পর নাইট্রিক এসিড উত্তম কাজ করে ।

পরবর্তী ঔষধ :
ক্যালকেরিয়া কার্ব, বেলেডোনা, আর্নিকা, কেলি কার্ব, পালসেটিলা, সাইলেসিয়া, সালফার, থুজা।

ক্রিয়ানাশক :
হিপার, সালফার, মেজেরিয়াম, কোনিয়াম, মার্কসল, ক্যালকেরিয়া, একোনাইট।

ক্রিয়া স্থিতিকাল :
৪০ হইতে ৬০ দিন।

ব্যবহার শক্তি :
৬ হইতে ২০০ বা তাহার উর্দ্দে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.